Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

একটি বিশেষ ঘোষনা: এতদ্বারা বারঘরিয়া ইউনিয়নের অধিবাসীদের জানানো যাচ্ছে যে, সদ্য জন্মগ্রহণকৃত ০ থেকে ৪৫ দিন ও ১বছর বয়সের শিশুর নিবন্ধন করা হয়নি তাদের যতদ্রুত সম্ভব নিবন্ধন করুন । মৃতব্যক্তির মৃত্যুর ০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যুনিবন্ধন সম্পন্ন করে আপনার আইনি দায়িত্ব পালন করবেন উল্লেখ্য যে, ০ থেকে ৪৫ দিনের শিশুর জন্মনিবন্ধন করতে পিতা মাতার জন্মনিবন্ধন লাগবে না।  এ বিষয়ে আপনাদেরকে সার্বিক সহযোগীতা প্রদানের জন্য নিজনিজ ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশদের সাথে যোগাযোগ করুন। বি:দ্র: যদি কোন ব্যক্তি জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের তথ্য গ্রামপুলিশদের প্রদান না করে তবে জন্ম ও মৃত্যু আইন-২০১৩ মোতাবেক ৫০০০/- টাকা অথবা ১ বছর কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে০-১ বছরের নিবন্ধনের জন্য ফোনে +8809696474345 অথবা https://m.me/Baragharia.UP ফেসবুক মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করুন।


শিরোনাম
জেলা কোভিড-১৯ প্রতিরোধ কমিটি প্রেস ব্রিফিং : নতুন বিধিনিষেধ ২৩ জুন পর্যন্ত
বিস্তারিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় চলমান বিশেষ বিধিনিষেধের সময়সীমা আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিট নতুন বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে। আগামী ২৩ জুন রাত ১২টা ১ মিনিট পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। আগের বিধিনিষেধ বহাল রেখে এর সময়সীমা বাড়ানো হলো।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা কোভিড-১৯ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ এই ঘোষণা দেন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলনে কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণের হার কমে আসলেও পাশর্^বর্তী জেলা নওগাঁ, নাটোর ও রাজশাহীর হার না কমায় আরো ১ সপ্তাহের জন্য এই বিধিনিষেধ জারি করা হলো। এসময় তিনি বলেন- এখন আমের ভরা মৌসুম। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আম ব্যবসা করা যাবে। জেলার বাইরের আম ব্যবসায়ীরা আম কিনতে আসতে পারবেন। তবে কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি লংঘন করা যাবে না।
জেলা প্রশাসক বলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় করোনা সংক্রমণের হার গত ১৮ মে হতে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় প্রথম ধাপে গত ২৪ মে থেকে ৩১ মে এবং দ্বিতীয় ধাপে ১ জুন হতে ৭ জুন পর্যন্ত বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। দুই ধাপে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের ফলে জেলা করোনা সংক্রমণের হার নিম্ন গামী হওয়ায় পূর্বের কঠোর লকডাউন শিথিল করে পরবর্তীতে গত ৮ জুন হতে ১৬ জুন  পর্যন্ত ১১টি বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এর ফলে করোনা সংক্রমণের হার আরো নিম্ন গামী হয়। এজন্য জেলা প্রশাসন মোবাইল কোর্টের অভিযান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ তৎপরতা, রাজনৈতিক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিশেষ বিধিনিষেধ কার্যকরে একাত্মতা বিশেষভাবে প্রশংসার দাবি রাখে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে করোনার সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন জেলা কোভিড-১৯ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী। তিনি জানান, ২০২০ সালের ১ মার্চ হতে গত ১৫ জুন পর্যন্ত জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮২ জন। এর মধ্যে প্রথম ঢেউয়ে ১৪ জন মারা যান। তিনি জানান, বর্তমানে করোনা সংক্রমণের হার ১৭ শতাংশ।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাকিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
১১টি বিধিনিষেধে যা আছে : সকল ধরলের দোকানপাট ও শপিংমল বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৯টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। তবে ক্রেতা এবং বিক্রেতাকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মার্কেট কমিটি, সংশ্লিষ্ট দোকানের মালিক তার অংশে উক্ত শারীরিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করবেন; মোটরসাইকেলে চালক ব্যতীত অন্য কোনো আরোহী বহন করা যাবে না। রিকশায় শুধুমাত্র ১ জন যাত্রী এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় সর্বোচ্চ ২ জন যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করা যাবে; সকল ধরনের সাপ্তাহিক হাটবাজার পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও মুদি দোকানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৯টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে; স্বাস্থ্যবিধি মেনে আম ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন চালু থাকবে।

তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল ও ভোলাহাট উপজেলায় অবস্থিত বৃহত্তম অমি বাজারসমূহের আশপাশের স্টেডিয়াম বা স্কুল কিংবা কলেজ মাঠে পূর্বের ধারাবাহিকতায় স্থানান্তরিত থাকবে। উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে; জনসমাবেশ হয় এমন ধরনের সামাজিক (বিবাহত্তোর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি) রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জমায়েত বন্ধ থাকবে; খাবারের দোকান ও হোটেল রেস্তোরাঁসমূহ সকাল ৬টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয় ও সরবরাহ করতে পারবে। তবে খাবারের দোকান ও হোটেল- রেস্তোরাঁসমূহে বসে খাবার খাওয়া যাবে না; সকল আন্তঃজেলা গণপরিহন (আম পরিবহনকারী যানবহন ব্যতীত) চলাচল বন্ধ থাকবে। আম ব্যবসায়ীগণ আম ক্রয়ের জন্য অন্যান্য জেলা হতে এ জেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। জেলার মধ্যে গণপরিবহনসমূহ আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

কোন যাত্রী মাঙ্ক পরিহিত না থাকলে যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট চালক-হেলপার ও মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে; শিল্প-কারখানাসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে; স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুমার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্তের নামাজে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও সমসংখ্যক ব্যক্তি উপাসনা করতে পারবে; কৃষিকাজ ও নির্মাণকাজের সাথে জড়িত শ্রমিকগণ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও মাস্ক পরিধান করে কৃষিকাজ নির্মাণকাজ চালাতে পারবেন; জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে। তবে সকল ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ও মাঙ্ক পরিধান বাধ্যতামূলকভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
16/06/2021
আর্কাইভ তারিখ
30/06/2021