চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারঘরিয়া ইউনিয়নে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগপ্রতিরোধ কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ২০২৪ খ্রি. সকাল ১১ টায় বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই সচেতনতামূলক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব হারুন-অর-রশিদ সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা জনাব মো. হাসান হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ডেঙ্গু আজ আমাদের সমাজে একটি গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জনাব মোহা: আবুল খায়ের বলেন, আমরা জানি, ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত রোগ, যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এডিস মশা সাধারণত ঘরে বা এর আশেপাশে জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে জন্ম নেয়। তাই আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হলো, নিজেদের বাড়ির আঙিনা, স্কুল, অফিস, এবং সমাজের সর্বত্র পরিষ্কার রাখা। পরিষ্কার পানি জমতে দেওয়া যাবে না। সকলকে নিজেদের দায়িত্বে পানি জমা হওয়ার সম্ভাব্য স্থানগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। এ দায়িত্ব শুধু সরকার বা বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নয়, এটি আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্ব।
সভাপতি তার সমাপনি বক্তব্যে বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা ও শিক্ষা অপরিহার্য। সবাইকে জানতে হবে যে, জ্বরের প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং কোনোভাবেই এটি অবহেলা করা যাবে না। যথাসময়ে চিকিৎসা না করলে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। প্রতিটি পাড়ায়, মহল্লায়, অফিসে এবং স্কুলে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত প্রচারাভিযান চলছে আপনারা ডেঙ্গুর আবাস স্থল চিহ্নিত করে আমাদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মহল্লাদারদের জানাবেন তারা অতিদ্রুত ডেঙ্গুর আবাস স্থল ধ্বংশের ব্যবস্থা করবে। শুধু সরকারি প্রচেষ্টা নয়, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সচেতনতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে, সচেতন থাকলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব।
এসময় জনসাধারনের সচেতনতার জন্য লিফলেট বিতরণ করা হয় ও ডেঙ্গুর আবাস স্থল ধ্বংস, বিভিন্ন জায়গায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মতবিনিময় সভা আরো উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. সেমাজুল ইসলাম, মো. নাসিম, তাসিকুল ইসলাম, মো. আব্দুল মালেক, মো. আফজাল হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোসা. সুলেখা বেগম, ধর্মীয় ব্যক্তি, ব্যবসায় প্রতিনিধি, শিক্ষক, ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস